আজ মনে অনেক কষ্ট নিয়ে লিখছি, যদিও প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে বই বের না হাওয়া পর্যন্ত আর কোণ পোস্ট দিবো না। কিন্তু খামারিদের পেরেশানি আর কবুতরের অবস্থা শুনে না লিখেও পারলাম না। কারন আমি একজন কবুতর প্রেমি। আর যারা নকল বাজ তারা নকল করবেই, করুক না নকল? কতো আর নকল করবে?? কিন্তু এক জাইগাতে এসে তাদের থেমে যেতে হবে, আর মানসিক প্রশান্তি তা না হয় বাদই দিলাম! একটা কথা আমি জানি আর তাহলো, আল্লাহ্ যাকে সম্মানিত করতে চান, কেও তাকে বদনাম করতে পারে না, আর যাকে অপমানিত করতে চান, কেও তাকে বাচাতে পারবে না। আল্লাহ ওদের বিচার করবেন(এটাই আমাদের আশা।)
বর্ষাই অধিকাংশ কবুতর বিভিন্ন সমস্যাই ভুগে, তার মধ্যে অন্নতম যেমনঃ
১) ডাইরিয়া,
২) চোখে ঠাণ্ডা ,
৩)পা অবস বা পারাল্যসিস
৪)কারন ছাড়া ঝিমান,
৫)সর্দি, কাশি ঘরঘর করা,মুখ হা করে শ্বাস নিয়া। ইত্যাদি
এসব সমস্যা খুবই সাধারন আর এতে ভয় পাওয়ারও কিছু নাই। তাহলে কি করা উচিৎ?
১)খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার কবুতরের খাদ্দ্যে পরিমিত তৈল বীজ থাকে,যেমনঃ বাজরা ,তিসি,সরিসা,কুসুম বিচি, সূর্যমুখী বিচি ইত্যাদি।
২)খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামার শুকনো থাকে, যদিও এই বর্ষাই এটা খুবই কঠিন একটা কাজ, আর এই লক্ষে আপনাকে প্রয়োজন হলে বরিক পাওডার ছিটাতে হবে, আর সম্ভব হলে ছোট এক টুকরা কাপড়, পেপার, বা চট দিতে পারেন।
৩)নিয়মিত ক্যালসিয়াম দিতে হবে, ই ভিটামিন যোগ করে, কারন ই যোগ না করলে ক্যালসিয়াম বেশি মাত্রাই শোষিত হবে না কবুতরের শরীরে।(৩/৪ দিন মাসে, তবে যদি গরম বেড়ে যাই তবে এর মাত্রা কমিয়ে দিবেন।)
৪)মাসে ২/৩ দিন আলাদা ভাবে রসুন বাঁটা ১ লিটার পানিতে ২ চামচ(চা চামচ) মিক্স করে ছেকে সাধারন পানির মত সরবরাহ করুন। এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লা মুক্ত থাকবে ও শরীরও উষ্ণ থাকবে। (যদি কৃমির ঔষধ খাওয়ানো থাকে তাহলে মধু যোগ করতে পারেন এর সাথে)।
৫)ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিন ৩/৪ দিন মাসে।
৬)মাল্টি ভিটামিন দিন ৩/৪ দিন মাসে।
৭)Calceria Curb 30 , ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে দিতে হবে মাসে ১ বার। (প্রতিরোধ ও সর্দি কাসির জন্য)
৮)আক্রান্ত ক্ষেত্রে যদি সর্দিকাশির জন্য Dulkamara 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩/৪ বার।
৯)আক্রান্ত ক্ষেত্রে যদি সর্দিকাশির সাথে হালকা শরীর গরম থাকে হা করে নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে Rush Tox 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩/৪ বার।
১০)নিয়মিত স্যালাইন দিবেন।
১১)চোখে সমস্যার জন্য যেমনঃ চোখে পেচুটি কাটা, চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া,পানি পড়া ইত্যাদি কারনে cipro a or dexcholore eye drop দিতে হবে দিনে ৫/৬ বার। এছাড়াও Pulsetila 200, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২/৩ বার(যদি পুজ জমে ও চোখ বন্ধ হয়ে যাই।)। অথবা Merecurius Sol 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২ বার। ২/৪ দিন দিতে হবে। (যদি পানি পড়ে ও ফুলে থাকে)।
১২)সর্দিকাশি, ডাইরিয়া ইত্যাদি ভাইরাল সংক্রমণ থেকে হয়, তাই অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না।
১৩)সবশেষে বলতে হয়ই যে কবুতরের জমানো খাবার ও গ্রিটে কোন মতেই যেন না ভেজে বা ফাঙ্গাস না ধরে, তাই অতিরিক্ত সাবধানতা হিসাবে হালকা গরম করে নিতে পারেন।
অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আপনার খামারে কোন অবস্থাতেই বৃষ্টির পানি না আসে বা কবুতর না ভিজে। যদি আপনি আপনার খামারের সঠিক যত্ন নেন আশাকরি এই বর্ষা অনায়াসে।নিশ্চিন্তে পার করতে পারবেন।
Post a Comment