কবুতরের খাবার তার স্বাস্থ্যগত বাপারে বিরাট ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে ব্রিডিং কবুতরের জন্য সুষম খাদ্য এর তুলনা নাই। আপনি যদি আপনার কবুতর কে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে বার্থ হন তাহলে আপনি যতোই ভিটামিন বা অন্য কোণ খাদ্য সহায়ক দেন না কেন কোণ কাজে আসবে । আর আপনার কবুতর নিয়মিত রোগ বালাই তে আক্রান্ত হতে থাকবে । তাই নিয়মিত সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে যেকোনো সফল খামারিকেই ।
কবুতরের যতো রোগ হয় তার অধিকাংশই সূত্রপাত হয় খাবার ও পানির মাধ্যমে, তাই খাবার দিবার আগে সেগুলো যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করে দিতে হবে, যেমন পটাশ পানি বা লবণ পানিতে ধুয়ে রোদে শুকীয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে সব খাবার আবাড় ধুয়া সম্ভব না, জেমোণঃ তিসি, চীণা,কাওণ, সবুজ মটর ইত্যাদি, তবে কিছু ধুয়া তা খুবই জরুরী, যেমন কালী মটর, লাল বাজরা, সাদা দেশী মটর, লাল মটর মূঘ ডাল,সরিষা ইত্যাদি । অনেকে কবুতর কে ধান দিতে দেখা যাই, ধান বাচ্চা কবুতরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, কারন ধানের ধারালো কোণা থেকে তা থেকে পাকস্থলী ও গলাতে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে ।
কিছু খাবার আছে যেগুলো দিলে সবুজ পায়খানা হতে পারে, তার মানে এই না যে কবুতরটি সাল্মনিলা আক্রান্ত হয়েছে, আনুরুপ ভাবে কিছু খাবার আছে যেটা আকেবারেই না খাওয়ানো ভাল যেমন রেজা। নতুন রেজা সাল্মনিলা সহ অন্য অনেক রোগের কারন হতে পারে।
অনেকে আছেন যারা কবুতর কে ভাত,ধান,ইত্তাদি খেতে দেন, মনে রাখবেন ভাত কবুতরের বাত রোগ তৈরি করতে পারে। এর ধান গলার সংক্রমণ হতে পারে।
কোন উপদান কি পরিমান দিনবেন তা নিচে দেয়া হলঃ
১) হলুদ ভুট্টা (ছোটো)...........................। ১০%
(অনেক ভাঙা ভূট্টা খাওয়াতে দেখা যাই, কিন্তু ভাঙা ভূট্টা তে সালমোণীলার জীবাণূ থাকে। ছোটো পোপ কর্ণ দিবেন। )
২)খোশা যুক্ত মসুর ডা..................।।৫%
৩)খোশা যুক্ত মুগ ডা..................।।৫%
৪)খোশা যুক্ত মাষকলাই ড........................ ৫%
৫)খোশা যুক্ত খেসারি ডাল.................. ৫%
৬)লাল গম .......................................।১০%
৭)লাল বাজরা.......................................।।৫%
(লাল বাজরা অনেক সময় পোকা ধরা ঠাকে,তাই সেক্ষেত্রে এটা বাড দিতে পারেন।)
৮)সাদা বাজর.......................................।।৫%
৯)চাল (ঢেকী ছাটা লাল চাল হলে ভালো..............................৫%
১০)লাল মটর .................................।৫%
১১)কালী মটর.................................।।৫%
১২)সবুজ মটর(GREEN PEA.....................। ৫%
১৩) সাদা দেশী মটর (ডাবলী ছোটো)........................।।১০%
১৪)ছোলা বু........................৫%
১৫)হেলেণ ডা.......................................... ২%
(হেলেণ ডাল এ অনেক সময় পোকা ধরা ঠাকে,তাই সেক্ষেত্রে এটা বাড দিতে পারেন।)
১৬)তিসি .............................................।।২%
(তিসি একসঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা আল্পো করেও মাঝে মাঝে দিতে পারেন।)
১৭)সরিষ......................................................।২%
(সরিষা একসঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা আল্পো করেও মাঝে মাঝে দিতে পারেন।)
১৮)কালোজির.......................................।। ২%
(কালোজিরা একসঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা আল্পো করেও মাঝে মাঝে দিতে পারেন।)
১৯)মেথি...................................................২%
(মেথি একসঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা আল্পো করেও মাঝে মাঝে দিতে পারেন।)
২০)চীনা .................................।।২%
২১)খোশা যুক্ত কাঊ.......................................২%
২২)কুসুম ফুলের বীচী .................................২%
২৩)সূর্যমুখী ফুলের বীচী .................................২%
২৪)বাদাম .......................................।২%
(বাদাম ভেঙ্গে একসঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা ভাবে আল্পো করেও মাঝে মাঝে দিতে পারেন।)
২৫)ক্যানারি শীড..............................।।২%
২৬)বয়লার গ্রয়া.......................................৫%
(অথবা আলাদা ভাবে অন্য খাবারের সঙ্গে অল্প করে দিতে দিতে পারেন, ভাল মানের তা কিনবেন)
সব খাদ্যই যে দিতে হবে এমন কোণ বাধ্যবাধকটা নাই বা পরিমান ও যে এই রকম রাখবেন সেতাও ঠিক না, আপনার কবুতর এর পছন্দ আনুজাই আপনি এই অনুপাত ঠিক করে নিতে পারেন। তবে যদি দিতে পারেন তাহলে আপনি আপনার খামারে রোগ থেকে অর্ধেক নিরাপদ হয়ে গেলেন। আপণাকে খেয়াল রাখতে হবে আপানার খামারে যে সব দামি কবুতর আছে তার তুলনাই এই খাবারের মূল্য কিছুই না।
Post a Comment