Bumblefoot বা পায়ে ক্ষত প্রায় সব প্রজাতির পাখি ও কবুতরের মধ্যে দেখা দেয়।
খাঁচায় বন্দী বা Aviary পাখি বা ভুলভাবে পালন এর ফলাফল এটা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভীষণ মোটা, নিষ্ক্রিয় ,অথবা পুষ্টিহীন পাখি (নির্দিষ্ট পুষ্টির একটি বাড়তি বা ঘাটতির কারনে) এই রোগ চিহ্নিত হয়। সাধারণত তত্ত্বাবধায়ক দ্বারা প্রথম উপসর্গ খেয়াল করতে হবে যে, পা বা পায়ের আঙ্গুল ও খোঁড়ায় হাটা এছাড়াও পায়ের মধ্যে জয়েন্টগুলোতে ফোলা হয়।
কারণ
Bumblefoot বা পায়ে ক্ষত সাধারণত staphylococcus ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়।
সাধারণত উচ্চতা বা খারাপ খামার ব্যবস্থাপনা অপর্যাপ্ত বিশ্রাম বা পুনরাবৃত্তিমূলক, ভারী landings থেকে ঘটমান পাদদেশ বা পায়ের প্যাডে কাটা(যা পরে বিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়), scrape বা আঘাতের কারণেও হতে পারে। সাধারণ কারণ ভিটামিন A এর অভাবে হয়। Bumblefoot সময়মত চিকিত্সা না করলে এর হাড় ও tendons এ সংক্রমণের মাধ্যমে মৃত্যু ঘটাতে পারে। এছাড়াও
সংকটাপন্ন ইমিউন ফাংশন।
একটি বিপাকীয় ব্যাধি (যেমন ভিটামিন, খনিজ পদার্থ বা প্রোটিন হিসাবে নির্দিষ্ট পুষ্টি, দেহমধ্যে সজীব উত্পাদনের রাসায়নিক পরিবর্তন সমস্যা) ।
ইউরিক অ্যাসিড এর আধিক্য।
রিং পরান বা রিং থেকে আঘত।
রোগের সংক্রমণ ইত্যাদি।
লক্ষণ:
Bumblefoot সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলো limping বা খোঁড়া হাটা অন্তর্ভুক্ত। পায়ের পাদদেশ প্যাড পরিদর্শন, লালভাব প্রকাশ, হালকা ভাবে ফোলা এবং কালশিটা ভাব থাকে।
প্রথম দিকে পিঙ্ক কড়া প্রদর্শিত হবে এবং পায়ের নীচে এই জোরে ঘযা দিয়া ছাল ছড়িয়া নেত্তয়া মত শক্ত বোধ হবে। আর সাধারণত উভয় পায়ে এর প্রভাব ফেলে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষত তৈরি হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে সুরাহা না হলে তৃতীয় পর্যায়ে অনুপ্রবেশ হতে পারে। নীল বা কালো হয়ে পচে যাবার মত হবে। পাদদেশ এবং পায়ের আঙ্গুল এবং স্থায়ী পা বা পায়ের ক্ষতি গুরুতর বিকৃতি দেখা দিবে। পাখি ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভব করে।তারা তাদের অস্বস্তি উপশম করতে পা উপরে উঠিয়ে রাখবে।
প্রতিরোধ:
১) নিয়মিত পাদদেশ পরিদর্শন করা বাঞ্ছনীয়।
২) খাঁচা পরস্কার রাখা।
৩) সুষম খাদ্য সরবরাহ।
৪) কেটে গেলে বা ফোড়ার মত কিছু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা।
৫) খাঁচার খোঁচা অংশ গুলো সমান করা। পায়ের লোম কেটে কেটে ছোট করা।
৬) নিয়মিত ভিটামিন A দিতে হবে।
চিকিত্সা:
১) ক্ষত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
২) পটাস/পভিসেফ/বা ডেটল হালকা গরম পানিতে মিক্স করে পা ভেজান বা ধুতে হবে।
৩) হোমিও Calendula 30+ Echinacea 30+ Hypericum 200 দিতে হবে ১ ফোটা করে দিনে ৩ বার ৫/৬ দিন।
৪) প্রভাবিত পাদদেশ Oracin K +Saline ১ গ্রাম/সিসি করে মিক্স করে দিনে ৩ বার দিতে হবে। (হোমিও চিকিৎসা দিলে এই অ্যান্টিবায়টিক চিকিৎসার দরকার হবে না।)
এই রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে। যাতে সংক্রমণ বেশি না হয়। অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা উচিৎ।
Post a Comment