ঘৃতকুমারী গাছের পাতার সবুজ অংশটি ফেলে দিয়ে ভিতরের শাঁস/জেলের মত অংশটি বের করে নিন। ১ কাপ পানি, ১ চা চামচ পরিমান ঘৃতকুমারীর শাঁস/জেল এবং ঘৃতকুমারী(Aloe vera)
১/৪ চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। যদি ব্লেন্ডার না থাকে তাহলে ঘৃতকুমারীর শাঁস/জেল ছোট ছোট টুকরা করে হাত দিয়ে ভাল করে চটকে নিয়ে বাকি উপকরণগুলো শরবতের মত ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। উপকরণগুলো মিশানোর ফলে কিছুটা ফেনা তৈরি হবে যা কিনা কিছুক্ষন রেখে দিলে আপনা আপনি দ্রবনে মিশে যাবে। আরও ভালো ফলাফলের জন্য, দ্রবণটিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
এই দ্রবণটি পরিষ্কার পানির পাত্রে পাখিকে খেতে দিন। সাধারণত ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত পাখির খাঁচায় রাখা যাবে। এর পরে দ্রবণটি বদলে দিতে হবে। আপনি চাইলে দ্রবণটি এক সাথে বেশি পরিমানে বানিয়ে ফ্রিজে রেখে পর পর ২ দিন পাখিকে খাওয়াতে পারেন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট পরে(ঠাণ্ডা ছাড়িয়ে) পাখির খাঁচায় দিতে হবে।
ঘৃতকুমারী পাতার টুকরা সপ্তাহে ২ দিন, ঘৃতকুমারী(Aloe vera) শরবত মাসে ১ বার টানা ৩ দিন, গরমের সময়ে ৩/৪ দিন পর পর একদিন দেয়া যেতে পারে।
ঘৃতকুমারীর উপকারিতাঃ
পাখির শরীর সতেজ রাখে।
অত্যধিক গরমের সময় পাখিকে “হিট স্ট্রোক” থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
স্যালাইন, গ্লুকোজ/গ্লুকলাইটের থেকে ঘৃতকুমারী(Aloe vera) শরবত কার্যকর এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।
ঘৃতকুমারী(Aloe vera) শরবত পাখির শরীরের ভিটামিন ও মিনারেলস এর ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
এটি পাখির পাচনতন্ত্র( digestive system) ও শ্বসনতন্ত্র( respiratory system) কে সুস্থ ও সবল রাখে।
পাখির ত্বক ও পালকের যে কোন সমস্যার সমাধান করে এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। এ ছাড়াও পাখির পালক তুলে ফেলা (feather plucking) রোধ করতে ঘৃতকুমারীর শাঁস/জেল এর সাথে অল্প পরিমানে পানি মিশিয়ে পাখির গায়ে স্প্রে করতে অথবা লাগিয়ে দিতে পারেন।
পাখির যে কোন আঘাত বা ক্ষতস্থানে ঘৃতকুমারীর শাঁস/জেল সরাসরি প্রয়োগ করা যায়। যা পাখির আঘাত প্রাপ্ত স্থানের বাথ্যা কমে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে
ঘৃতকুমারী(Aloe vera) পাখির শরীর পরিশোধনে (detoxify) এবং পাখির শরীরের ভেতরে যদি কোন ইনফেকশন (Internal Infections) থেকে থাকে তা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
Post a Comment