বাজেরিগার পালন ( লিখক Melopsittacus Deepu )


১। ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। পাখি কেনার আগে পরিকল্পনা করুন, পাখি নিয়ে আপনার ভাবনা পরিষ্কার করুন।
২। পাখি কেনার আগে আপনার পরিচিত কোন পাখি পালকের সাথে কথা বলুন, তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো জানুন।
৩। আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতামত নিয়ে নিন।
৪। পাখি কোথায় রাখবেন তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করুন।
৫। আগে খাঁচা আর আনুসঙ্গিক জিনিষপত্র কিনে আনুন।
৬। পরিচিত কারো কাছ থেকে পাখি কিনুন।
৭। “পাখি কবে ডিম-বাচ্চা দিবে?” -এই প্রশ্ন মাথায় আনবেন না। যদি এই ভাবনা থেকে বাজেরিগার কিনতে চান, তাহলে সম্ভবত এই পাখি আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।
৮। ৩-৪ মাস বয়সী পাখি কিনবেন।
৯। পাখি কিনে বাসায় আসার পর তাদের খাবার আর পানি দিয়ে ১-২ দিন নিরিবিলি থাকতে দিন।
১০। বাজার থেকে পাখি পালনের উপর কোন বই কিনে আনুন।
১১। পাখিদের চিনা-কাউনের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি আর ডিম খেতে দিন।
১২। প্রাপ্তবয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ে পাখি আলাদা রাখুন।
১৩। ৮-৯ মাস বয়স হবার পর ব্রীডিং মুডে থাকলে তাদের জোড়া দিন।
১৪। জোড়া বাধার পর বড় মাপের হাড়ি দিবেন।
১৫। এক জোড়া পাখির জন্য কমপক্ষে ১৮-১৮-১৮ মাপের খাঁচা দিবেন।
১৬। সবসময় ক্যাটলফিস বোন খাঁচার রাখবেন।
১৭। এর পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
১৮। তাদের বেশি বিরক্ত করবেন না।
১৯। আপনার যে কোন সমস্যা অভিজ্ঞজনদের জানান ও তাদের পরামর্শ নিন।
২০। অসুখ হলে দেরি করবেন না, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২১। দোকানী বা অনভিজ্ঞদের কথায় কোন ঔষুধ খাওয়াবেন না।
২২। অযথা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়াবেন না।
২৩। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে সফট ফুড দিন।
২৪। পাখির খাবার ও পানি সন্ধ্যার পর সরিয়ে রাখবেন, পরদিন সকালে পরিষ্কার পানি আর ফ্রেশ খাবার দিবেন।
২৫। পচনশীল খাবার ৩-৪ ঘন্টার বেশি খাঁচায় রাখবেন না।
২৬। মাসে এক বার এসিভি কোর্স করাবেন।
২৭। পাখির ঘরের তাপমাত্রা ২৫-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে রাখবেন।
২৮। পাখিদের ব্রিডিং মেশিন মনে করবেন না।
২৯। এক জোড়া পাখিকে বছরে ৩ বারের বেশি ব্রিডিং করাবেন না।
৩০। বিশ্রামের সময় ছেলে ও মেয়ে পাখি আলাদা রাখুন।
৩১। বাচ্চাদের বয়স ৩ সপ্তাহ হয়ে গেলে ফিমেল পাখিকে আলাদা করে দিন।
৩২। এক খাঁচায় এক জোড়ার বেশি পাখি রাখবেন না।
৩৩। পাখিদের নিয়মিত গোসল করাবেন।
৩৪। নতুন কোন খাবার দিলে তারা সাথে সাথে নাও খেতে পারে। তাই নতুন খাবার প্রতিদিন দিতে থাকুন যতদিন না তাদের অভ্যাস হয়।
৩৫। প্রথম বাচ্চাদের বিক্রি করবেন না। কারন তারাই আপনাকে সবচেয়ে ভালো ফল দিবে।
৩৬। এক ঘরের বাচ্চা জোড়া দিবেন না।
৩৭। জোড়া বাধার আগে খাঁচায় হাড়ি দিবেন না।
৩৮। পাখিদের গায়ে সরাসরি বাতাস লাগাবেন না।
৩৯। সপ্তাহে ২ দিন তাদের সান-বাথ করাবেন।
৪০। এক হাড়ি ৩ বারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
৪১। পাখির খাঁচা থেকে বাচ্চাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
৪২। পাখির ঘরের বারান্দা ও জানালায় নেটিং করে দিন।
৪৩। সন্ধ্যার পর অযথা পাখির ঘরের বাতি জ্বালিয়ে রাখবেন না।
৪৪। অসুস্থ্য পাখির চিকিৎসার জন্য একটি ছোট খাঁচা রাখুন।
৪৫। যেখানে সবসময় লোকসমাগম থাকে সেখানে পাখি রাখবেন না।
৪৬। বাতাস চলাচল করে না এমন জায়গায় পাখি রাখবেন না।
৪৭। অভিজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া পাখিদের নতুন নতুন খাবার খাওয়াবেন না।
৪৮। মনে রাখবেন পাখিদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ আছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post