কবুতরের নানা ধরনের রোগ বালাই এর মধ্যে কবুতরের উদরাময় (Diarrhoea) অন্যতম। এমন কোন খামারি নাই যিনি এই ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পান ১০০ ভাগ। আর এটা গুরে ফিরে আসে। আর খামারিকে এক অনাখাংকিত পরিস্থিতির উদ্রেগ করে।সাধারনত পেটের যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। কিছু উদরাময় সাধারন হয় যা আপনা আপনি সেরে যায়, আর কিছু দীর্ঘ মেয়াদী হয় যা দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে থাকে। আর সহজে নির্মূল করা কঠিন হয়ে পরে। এটি প্রাথমিক সংক্রমন হলেও পর বিস্তার লাভ করে থাকে।
কবুতরের উদরাময়
উদরাময় আক্রান্ত কবুতরের পায়খানা
কারনঃ
১) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
২) খারাপ বা বিষাক্ত খাবার খেতে দেওয়া।
৩) অতিরিক্ত আহার বা অনিয়মিত আহার।
৪) অতিরিক্ত পরিশ্রম ( যেমন ঘন ঘন ডিম বাচ্চা তুলা)।
৫) প্রখর রোদ ভোগ বা ঘাম রোধ।
৬) প্রচণ্ড ঠাণ্ডা।
৭) দুর্গন্ধ ও দুষিত বায়ু সেবন বা বাতাস চলাচলের উপযুক্ত ব্যাবস্থার অভাব।
৮) নোংরা বা দুষিত পানি পান।
৯) নোংরা খাবার ও পানির পাত্র।
১০) ভিজা বা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় বাস।
১১) অতিরিক্ত ও অনর্থক অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ।
১২) এক স্থান থেকে অন্য স্থান পরিবর্তন বা ভ্রমনজনিত।
লক্ষণঃ
১) পাতলা,চাল ধুয়া পানির মত পাতলা পায়খানা।
২) পেট ফাপা ও পেট বেদনার কারনে ঝিমান ভাব বা গুজ হয়ে বসে থাকা।
৩) স্লেস্মা ও পিত্ত মিশ্রিত মল।
৪) ঝিল্লি দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা ও দুর্বলতা ।
৫) প্রচণ্ড দুর্বলতা ভাব ও বার বার পাতলা পায়খানা করতে করতে অবসন্ন হয়ে পড়া।
৬) বমি ও গোটা খাবার পায়খানার সাথে বের হাওয়া।
৬) শেষ পর্যায়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়া ।
চিকিৎসাঃ
১) হামদারদ এর পেচিস নামে ট্যাবলেট ১/২ করে দিনে ৩ বার ৩ দিন।
২) অথবা মারবেলাস ১ চামচ করে ৩০ সিসি পানিতে মিক্স করে ১০ সিসি করে দিতে হবে।
৩) গটা খাবার পায়খানার সাথে বের হলে হমিও Chaina ২০০ ফোঁটা করে দিনে ২-৩ বার ৩ দিন।
৪) চালের স্যালাইন দিতে হবে নিওমিত, আর গ্লুকস সহ সাধারন স্যালাইন দিতে হবে।
৫) দীর্ঘদিনের পুরাতন পাতলা দুর্গন্ধ যুক্ত পাতলা পায়খানার জন্য হমিও Sorinum 200 ২ ফোঁটা করে দিনে ২-৩ বার ৩ দিন।
তবে ঋতু অনুযায়ী ঔষধের বাআতিক্রম হয়। আর এই রোগের জন্য শুধু ঔষধ সেবন ই যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত সেবা ও যত্ন নেয়া জরুরি।অনেক ক্ষেত্রে শুধু যত্নের অভাবে এই রোগ বেশি হয়। তাই পরিস্কার পরিছন্নতার সাথে ভাল খাবার ও পানির ব্যাবস্থা করতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন