ঔষধ প্রয়োগ এর ব্যাপারে সাবধান হন এবং কিছু নিয়ম ( লেখক Kf Sohel Rabbi )


গ্রীষ্মের সময় অতি গরমে ও শীতের সময় অতি শীতে এবং বর্ষার সময় প্রাই কম বেশি কবুতরই সমস্যাই ভুগে এবং বেশি রোগ বালাই হয়। এর এই কারনেই বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, নতুন কবুতর পালক ও খামারিরা বেশ অসুবিদাই পড়ছেন । আর এই সুযোগে কিছু পশু ঔষধ বিক্রেতা ফইদা লুটছে , যা কিনা দুঃখজনক। দিন কই ধরে বেশ কিছু কবুতর পালক তারা সাল্মনিলা এর জন্য ESB30+Oximycin+thovit+Cosmic plus or saline এর সাথে মিক্স করে কবুতরদের প্রয়োগ করছেন, কিছু লোকের কথা মত। কিন্তু ভাল ফলাফল পাচ্ছেন না। প্রথম কথা হলে ২ টাইপ এর অ্যান্টিবাওটিক ভিটামিন কততুকু কাজ করবে তাঁর ব্যাপারে আমি সন্ধিহান। অধিকন্ত ২ টাইপ এর অ্যান্টিবাওটিক দেবার জন্য আপনার কবুতর মারাও যেতে পারে। এখন জেনে নিন এই গরমে ও বর্ষার সময় আপনার করনিও l

যখন ভ্যাকসিন দিবেন এর আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সব কবুতর সুস্থ আছে। অসুস্থ কবুতর কে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন না। জতখন না পুরপুরি সুস্থ হচ্ছে।
Live vaccine প্রয়োগ এর ব্যাপারে এ সতর্ক হন, কারন এটা যেমন আপনার কবুতরের রোগ প্রতিরোধে ভুমিকা রাখবে তেমনি সময় অতিবাহিত হবার পর এই Live vaccine ক্ষতিকর জীবাণু তে পরিনত হবে। তাই অবশিষ্ট Live vaccine মাতিতে পুতে ফেলুন।
অতি গরমের সময় ভ্যাকসিন দিবেন না।
ভ্যাকসিন যদি আপনি একান্ত দিতেই হয় তাহলে খুব সকাল বা রাত্রে দিন।
দেবার ব্যাপার কিছু নিয়ম মানুন, যেমনঃ ভ্যাকসিন সুধু এক চোখে এক ফোটা অথবা এক নাকে এক ফোটা দিবেন। ১ দিনের বাচ্চা কেও ভ্যাকসিন দিবেন।
ভ্যাকসিন খুব শক্তিশালী একটি উপাদান তাই এটা প্রয়োগ করেলে কবুতরের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে, খাওয়া কমিয়া দেওয়া, একটু ঝিম মেরে থাকা ইত্যাদি । তাই এই সময় স্যালাইন দিতে হবে।
অতি গরমের সময় ক্রিমির ঔষধ দিবেন না। এর যদি দেন তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মানে দিবেন। কারন গরমে প্রয়োগ করেলে কবুতরের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে।আর একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন মানুষের জন্য ব্যবহার হয়ই আমন ক্রিমির ঔষধ কখনও দিবেন না।
এই গরমে আপনার কবুতর কে ভিটামিন দিবার ব্যাপারে একটু খেয়াল রাখবেন, যেমন, ক্যালসিয়াম কম দিবেন কারন গরমে বেশি ক্যালসিয়াম দিলে heat stroke হতে পারে। এর মাল্টি ভিটামিন যেখানে অন্য সময় ৪/৫ দিন দিতেন সেখানে ১/২ দিন দিবেন, বি কমপ্লেক্স ১/২ দিন এভাবে আনুপাত তা কমিয়ে দিবেন।
প্রচুর প্ররিমান খাবার স্যালাইনে দিবেন। glucose দিবেন, গ্রিতকুমারি দিবেন। গ্রিতকুমারি এই গরমে এর জন্য খুব ভাল। এটা আপনার কবুতরের কনেক সমস্যা থাকে নিরাপদ রাখবে।
মশা /মাছি যেন খামারে না থাকে খেয়াল রাখবেন, এর জীবাণু মুক্ত ঔষধ ছিটাতে হবে নিয়মিত।
ধুলা পরিস্কার করবেন নিয়মিত। অনেক সময়ই কবুতরের বিষ্ঠা শুঁকিয়া ধুলাই পরিনত হয়। তাই নিয়মিত বিষ্ঠা পরিস্কার করবেন।
যে কোন ঔষধ প্রয়োগ এর ব্যাপারে একটু সাবধান হন। পশু ঔষধ বিক্রেতার কথা মত ঔষধ দিবেন না, প্রয়োজনে অভিজ্ঞ লকের পরামর্শ নিন।
আপনার কবুতর যেন নিয়মিত পানি পান করতে পাচ্ছে সে ব্যাপারে নজর দিন। এর পারলে গোসল এর বাবস্থা করুন নিয়মিত।
কখনই কবুতর কে ঠাণ্ডা পানি দিবেন না, বা অতি গরম পানি দিবেন না।
নিয়মিত ভাল মানের গ্রিট দিন।
সর্দি,কাশি,ডাইরিয়া ইত্যাদি রোগে কোন অ্যান্টিবাওটিক দিবেন না। হোমিও calceria curb 30 দিবেন। ৩ ফোটা দিনে ৩ বার ২/৩ দিন। আক্রান্ত কবুতর কে। আর প্রতিরোধে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।
এই গরমে কবুতরের চোখ উঠা, বা চোখে পানি পড়া,চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি বেশি হয়।
বেশি অ্যান্টিবাওটিক দিয়া থাকলে হোমিও নাক্স ভুম ৩০ দেন। শুধু তাই নয়
যাদের কবুতর খেতে চাই না বাকম খাই তাদের জন্য খুব ভাল কাজ করবে।
বরাক্স ৩০ দিন মাসে একবার। যে কোন ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা করবে। ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।
বেলেডনা ৩০ দিন মাসে একবার, এটা রানিক্ষেত রোগ থেকে প্রতিরোধ করবে, ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।
কবুতর অসুস্থ হলে ঘাবড়াবেন না। একটা কথা আছে” রোগ বালাই ত আছে দুনিয়াই ভাল থাকার আছে যে উপাই।“ তাই রোগ যেমন আছে তাঁর প্রতিকারও আছে। তবে আগে থেকে একটু সতর্ক হলে হইত আপনি আপনার খামার কে অনেক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারবেন বলে আশা রাখি।

Post a Comment

أحدث أقدم